বিডিনিউজ ১০ ডটকম ডেস্ক: বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিতে অনেকেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সভানেত্রী শেখ হাসিনার ক্লিয়ারেন্স পেলে, একটু সবুজ সংকেত পেলে সারা দেশে বিএনপির বিপুল নেতাকর্মীর স্রোতোধারা আওয়ামী লীগ অভিমুখে যাত্রা করবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ যাত্রা ঠেকাতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, বিএনপি এর মধ্যে টের পেয়েছে যে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট হলে তাদের নির্বাচিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
কারণ বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, তাদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে জনগণ বিরক্ত। বিএনপি এখনো নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।
‘সেটা তারা প্রমাণ করেছে তফসিল ঘোষণার পর পল্টনে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে।’
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী দিনে দলবদলের রাজনীতির কোনো চমক আছে কি না, জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঘোড়াবদলের যে রাজনীতি, এটা গণতান্ত্রিক দেশগুলোয় নতুন কোনো বিষয় নয়। নতুন কোনো দৃশ্যপট নয়।
তিনি বলেন, কে কোন দিকে অবস্থান নেবে, অলরেডি তো হচ্ছেই। আমরা কিন্তু এখনো নেত্রীর ক্লিয়ারেন্স পাইনি। অনেকেই আওয়ামী লীগে যোগ দিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন থেকে বিএনপি সরে যাবে, এমন আশঙ্কা আছে কি না—সাংবাদিকের এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই আশঙ্কা এই মুহূর্তে করতে চাই না। কারণ, আমরা একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই।
‘ইলেকশনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক, ইলেকশনে যদি কমপিটিশন না থাকে, তাহলে রেজাল্টের কোনো মজা নেই।’
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিভিন্ন দলের অভিযোগের বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে সক্ষম হবে। ভালো একটি নির্বাচন হবে।
বিএনপি অহেতুক এসব অভিযোগ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা অভিযোগ করতেই থাকবে যতক্ষণ না তারা জেতার নিশ্চয়তা পায়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ।